মা ও মেয়েকে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারতে মারতে নেওয়া হচ্ছে। গরু চুরির অভিযোগে মা ও মেয়েকে পেটানো হচ্ছে।কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য জনাব মিরানুল ইসলাম মা ও মেয়ের ওপর ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যায়। মারধোর করার পর অজ্ঞান করে মা ও মেয়েকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এখন তাঁরা হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
চেয়ারম্যান নিজের বয়ানে বলেন তিনি নিজ হাতে মা ও মেয়েকে পিটিয়েছেন। এবং তিনি আরো বলেন প্রশাসনিক বাহিনীর হাতে তুলে দিলে ক্রসফায়ারে তারা মারা যেত। সাধারণ জনগণ বলছে মার খেতে হয়, নেতা হলে হয়তো পুরস্কারই জুটত।মা-মেয়েকে যখন গ্রামে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘোরানো হয়, তখন গ্রামবাসী পেছনেই ছিল।এই জনতা বনের সেই গাছগুলোর মতো, যারা কুঠারকে তাদের বন্ধু ভেবেছিল।
গাছগুলো লোহার কুঠারের কাঠের হাতল দেখে ভেবেছিল, কুঠার হয়তো তাদের বন্ধু, কারণ তার হাতলটাও তো গাছেরই কাঠ দিয়ে তৈরি। জনপ্রতিনিধির সঙ্গে জড়িত ‘জন’ কথাটা হলো কুঠারের কাঠের হাতল আর শান দেওয়া লোহার কুড়াল হলো তার ক্ষমতা। মা ও মেয়ে গরু চুরি করেছে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন নয় বড় প্রশ্ন অপরাধের দায়ে প্রমাণিত না হয়ে মা ও মেয়েকে মারধর করা হয়।